Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অগ্রগতি ও সাফল্য

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অগ্রগতি ও সাফল্য
ড. দেবাশীষ সরকার১ ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী২
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের সর্ববৃহৎ বহুবিধ ফসলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জারিকৃত ঐতিহসিক ও যুগান্তকারী রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে নং-৩২ বলে কৃষি গবেষণার পর্যাপ্ত  সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নং-৬২ এর মাধ্যমে স¦ায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দানাজাতীয় শস্য, সবজি, কন্দাল ফসল, ডাল, তেলবীজ, মসলা, ফল ও অন্যান্য ফসলসহ ২১১টি  ফসলের উপর গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিধি ব্যাপক। উদ্ভিদ প্রজনন, ফসলের পরিচর্যা, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের হাত থেকে ফসলকে  রক্ষা করা, জীবপ্রযুক্তি প্রযোগ করে ফসলের কাক্সিক্ষত  জাত উদ্ভাবন, মৃত্তিকা ও সেচ ব্যবস্থাপনা, কৃষি যন্ত্রপাতি, উন্নত ফসল বিন্যাস ও খামার পদ্ধতি উন্নয়ন, শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তির আর্থসামাজিক বিশ্লেষণ ইত্যাদি এই ইনস্টিটিউটের গবেষণার আওতাভুক্ত। এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে ৬টি ফসল গবেষণা কেন্দ্র (কন্দাল, উদ্যানতত্ত্ব, ডাল, তেলবীজ, মসলা, উদ্ভিদ কৌলি সম্পদ), ৮টি আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ৩০টি গবেষণা উপকেন্দ্র ৯টি ফার্মিং সিস্টেম গবেষণা সাইট ও ৮২টি বহুস্থানিক পরীক্ষা কেন্দ্র আছে এবং ৭০০ এর অধিক বিজ্ঞানী গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

বারি এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৬০২টি উচ্চফলনশীল জাত এবং ৫৭৬টি ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি  উদ্ভাবন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়ে (২০০৯-২০২১) বিভিন্ন ফসলের ৩০২টি উন্নত জাত এবং ২৭০টি ফসল উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট পাঁচ শতাধিক প্রযুক্তি বিএআরআই উদ্ভাবন করেছে। 

কন্দাল ফসলের মধ্যে আলু, মিষ্টিআলু এবং কচু খাদ্য ও সবজির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিএআরআই এ পর্যন্ত আলুর ৯১টি, মিষ্টিআলুর ১৭টি এবং বিভিন্ন কচুর ১১টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে যা বর্তমানে এ সকল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যপক ভূমিকা রাখছে। আলুর ৫টি জাত (বারি আলু ৩৫, বারি আলু ৩৬, বারি আলু ৩৭, বারি আলু ৪০ ও বারি আলু ৪১) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংকরায়নের মাধ্যমে ক্লোনাল হাইব্রীড জাত হিসেবে অবমুক্ত করা হয়। নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর গড় ফলন প্রচলিত জাতগুলোর চেয়ে ২০-৩০% বেশি। এ ছাড়া আলুর মড়ক রোগ প্রতিরোধী জাতও উদ্ভাবিত হয়েছে। উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে স্টার্চ ও ড্রাই মেটারের পরিমাণ বেশি বলে বিদেশে রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী। 

বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আমিষের প্রধান উৎস ডাল। বিএআরআই এ পর্যন্ত ৬টি ডাল ফসলের ৪৩টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করছে। বারি মসুর-৭, বারি মসুর-৮, বারি খেসারি-৩, বারি ছোলা-৯ ও বারি ছোলা-১০ ফলন বেশি বলে দেশের বিভিন্ন  এলাকায় চাষাবাদ হচ্ছে। সম্প্রতি উদ্ভাবিত বারি মসুর-৯ অধিক পরিমাণ জিঙ্ক ও আয়রণ সমৃদ্ধ এবং স্বল্পমেয়াদি জাত  বলে ধানভিত্তিক ফসল বিন্যাসে সহজে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বারি মুগ-৬ কৃষকপর্যায়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি জাত এবং সারা দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মসুর, খেসারি, মুগ ও ছোলার জাত চাষ করে ২৫-৩০% ডালের ফলন বাড়ানো সম্ভব। 

বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে তেল ফসল খুবই গুরুত্বপূর্র্ণ। বর্তমানে  যে তেলবীজ উৎপাদিত হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। বিএআরআই এ পর্যন্ত ৮টি তেলবীজ ফসলের ৪৯টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। বারি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি সরিষার জাত বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৫ ও বারি সরিষা-১৭, রোপা আমন-বোরো ধান শস্য বিন্যাসে অন্তর্ভুক্ত করে সরিষার উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব এবং বর্তমানে সারা দেশে কৃষকের জমিতে জনপ্রিয় এ জাতগুলোর সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি উদ্ভাবিত কেনোলা গ্রুপের বারি সরিষা-১৮, অন্যান্য জাতের তুলনায় খুবই অল্প পরিমাণ ইরুসিক এসিড আছে (১.০৬%)। এ ছাড়া বারি সূর্যমুখী-৩ খাটো এবং লবণাক্ততাসহিষ্ণু বলে দেশের উপকূলীয় এলাকার জন্য খুবই উপযোগী। 

সবজি ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাদ্য যা মানুষের পুষ্টির জন্য অপরিহার্য। সবজির ঘাটতি পূরণের জন্য বিএআরআাই এ পর্যন্ত ২৯টি সবজি ফসলের মোট ১২৭টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। টমেটো, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া ও অন্যান্য সবজির ২৩টি হাইব্রিড জাত অবমুক্ত করেছে। বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন টমেটো সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর আবাদ করে সারা বছর টমেটোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে অমৌসুমে টমেটোর আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব হয়েছে।

সবজির মত ফলও ভিটামিন ও খনিজের প্রধান উৎস এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ যাবৎ ২৭টি ফলের ৯৩টি উন্নত জাতসহ ফল উৎপাদনের বেশ কিছু কলাকৌশল উদ্ভাবন করেছে। বারি উদ্ভাবিত বারি মাল্টা-১, বারি পেয়ারা-২, বারি আম-৪ (হাইব্রিড), বারি লিচু-৪ ইতোমধ্যে সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাবিত বারি আম-১১ (বারোমাসী), বারি আম-১২ (নাবি জাত), বারি লিচু-৫, বারি কাঠাল-২ (অমৌসুমি জাত) এবং বারি পেয়ারা-৪ (বীজবিহীন) দেশে ফলের উৎপাদন ও সারা বছর ফলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বারি বিভিন্ন বিদেশী ফল যেমন স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফল, এভোকেডো ও রামবুতানের বেশ কয়েকটি জাত অবমুক্ত করেছে।

আমাদের দেশে ফুলের গবেষণা একটি নতুন অধ্যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এই ক্ষেত্রটির সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিত করে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিএআরআই বিভিন্ন ফুলের ২২টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব জাতের মধ্যে চন্দ্রমল্লিকার ২টি, এ্যালপেনিয়ার ১টি, গাঁদার ১টি, লিলির ১টি, ডালিয়া ও জারবেরার ২টি ও গ্লাডিওলাসের ৩টি জাত উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশে মসলা খুবই জনপ্রিয় ফসল। বিএআরআই তে মসলা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পর পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ ইত্যাদি ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ২টি জাত অবমুক্ত করা হয়েছে যার ফলে সারা বছর পেয়াজ আবাদ করা সম্ভব হবে, যা দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 

দানাজাতীয় ফসল দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বারি গমের ৩৩টি উন্নত জাত এবং ভুট্টার ১৬টি হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন করেছে। যদিও গম এবং ভুট্টা অতি সম্প্রতি বিএআরআই থেকে আলাদা হয়ে বিডব্লিউএমআরআই এর অধীনে ন্যাস্ত করা হয়েছে। বারি বিভিন্ন মাইনর সিরিয়েলের ওপর গবেষণা পরিচালনা করে আসছে এবং ইতোমধ্যে বার্লির ১০টি, কাউনের ৪টি, সরগামের ১টি জাত উদ্ভাবন করেছে, যা দেশের চরাঞ্চল, খরা ও লবণাক্ত এলাকায় চাষের জন্য উপযোগী। 

বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষি শ্রমিকের বেশ অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সময় ও শ্রম সাশ্রয় করে কৃষিকাজ লাভজনক করার জন্য ৪৮টি কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিএআরআই উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির মধ্যে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র, শক্তি চালিত ভুট্টা মাড়াইযন্ত্র, আলু রোপণ যন্ত্র ও হারভেস্টার, ভেজিটেবল ওয়াশিং মেশিন, ফল শোধন যন্ত্র বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা কৃষকপর্যায়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। কৃষিকাজে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন সময়ের সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যয়ও হ্রাস পাবে এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফসল উৎপাদন সমস্যা যথা- লবণাক্ততা, উষ্ণতা, খরা, ভূগর্ভস্থ’ পানির সমস্যা ও বন্যা প্রভৃতি বিষয়ভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপর জোর দেয়া হয়েছে। বিএআরআই বিভিন্ন ফসলের প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী ৩০টি জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে  বারি গম ২৫, বারি গম ২৬, বারি গম ২৭, বারি গম ২৮, বারি আলু ২৮, বারি সরিষা ১১, বারি সরিষা ১৬, বারি তিল ৪, বারি মুগ ৬, বারি ছোলা ৯ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব জাত জলবায়ুূ পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

রোগবালাই প্রতিরোধী এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে এমন জাত উদ্ভাবনেBiotechnology গবেষণার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিএআরআই কর্নেল ইউনির্ভাসিটির সহযোগিতায় ইতোমধ্যে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী Bt Brinjal এর ৪টি ট্রানজেনিক জাত উদ্ভাবন করেছে যা বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী। Bt Brinjal বর্তমানে সারাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং কৃষকরা সফলভাবে চাষাবাদ করছে।

আগামী দিনের বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্যনিরপিত্তা নিশ্চিত করতে নিবিড় ফসলধারা উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। বছরে একই জমি থেকে ২-৩টি ফসলের  জায়গায় কিভাবে ৪টি ফসল আবাদ করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চার ফসলভিত্তিক বেশ কয়েকটি ফসলধারা উদ্ভাবিত হয়েছে যা দেশের ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখবে।

বালাইনাশকের ব্যবহার হ্রাস করে পরিবেশবান্ধব আইপিএম পদ্ধতি উদ্ভাবনের গবেষণার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এক্ষেত্রে সবজি ও ফলের বেশ কয়েকটি ফসলের সমন্বিত বালাই  ব্যবস্থাপনা (IPM) প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যা মাঠপর্যায়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। 

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ কৃষকপর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ই-এগ্রিকালচার চালু করা হয়েছে এবং মোবাইল অ্যাপস কৃষি প্রযুক্তি ভান্ডার তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে কৃষকেরা কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে থাকে।

উদ্যানতত্ত্ব ফসলের উপর গবেষণা করে শাকসবজি ও ফল উৎপাদনে বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বিএআরআই গত ২৯ এপ্রিল ২০১২ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার (স্বর্ণ পদক) ১৪১৭ অর্জন করে। তা ছাড়া ২০১৪ সালে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য বিএআরআই সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৪ লাভ করে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে দেশের জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গবেষণা জোরদার করেছে। বারি উদ্ভাবিত পুষ্টিমান সমৃদ্ধ শাকসবজি, মসলা ও ফল এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার জন্য উপযোগী ১২টি হোমস্টেড মডেল বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

ক্রম হ্রাসমান কৃষি জমি থেকে ক্রম বর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা অর্জনে এবং সরকারের এসডিজি ২০৩০, রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে বিএআরআই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে রোগবালাই ও পোকামাকড় প্রতিরোধী এবং প্রতিকূল পরিবেশে উপযোগী জাত উদ্ভাবন, নিরাপদ খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, পোস্ট হারভেস্ট প্রসেসিং ও মূল্য সংযোজন, হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা, প্রভৃতি বিষয়ের ওপর ভবিষ্যৎ গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করবে।

লেখক : ১মহাপরিচালক, বিএআরআই। ২মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর। মোবাইল : ০১৭১১৩১৮৬৮৫, ই-মেইল : dilwar92@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon